স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী। স্কুলের পোশাকেই ছিল। সাইকেলে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তায় তাকে ধাওয়া করতে শুরু করে একটি মোটরবাইক। বাইকে ৩ যুবক সওয়ার ছিল। তারা ওই কিশোরীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। কখনও গায়ে হাত, কখনও কটূক্তি চলতেই থাকে। তাদের নাগাল এড়িয়ে সাইকেল নিয়ে পালানোও সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যুবকরা বাইকে সওয়ার ছিল। আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে রুখে দাঁড়ায় ওই কিশোরী। অভব্যতার প্রতিবাদ করে গলা চড়ায়।
কিশোরীর গলা পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হন আশপাশের মানুষজন। এতজন এগিয়ে আসছে দেখে তখনকার মত সেখান থেকে চম্পট দেয় ৩ জন। কিন্তু ওই কিশোরী বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই ফের তাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে তারা। এবার আরও ভয়ংকরভাবে। ওই কিশোরীকে তারা সাইকেল থেকে টেনে নামিয়ে নেয়। শুরু হয় অশ্লীল আচরণ। তারপর কিশোরীকে রাস্তার ওপর ফেলে তার মাথার ওপর দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে দেয় তারা। চাকায় গুঁড়িয়ে যায় কিশোরীর করোটি।
ওই কিশোরীর দাদুর দাবি, এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন অভিযোগ নেয়নি। ফলে হাসপাতালও চিকিৎসা শুরু নিয়ে টালবাহানা করে। কারণ এটি পুলিশ কেস। অথচ পুলিশের কাছে কোনও রেকর্ড নেই। গত ৮ অগাস্ট এই ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য কিশোরীর চিকিৎসা চালু হয়। ১৪ অগাস্ট তার মৃত্যু হয়। পুলিশ এফআইআর নেয় ১১ অগাস্ট। ওদিনই এমন এক ভয়ংকর ঘটনার পরও এফআইআর না নেওয়ায় থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা