গত ২২ জুলাই এক বিবাহিতা মহিলাকে নিয়ে পালায় এক যুবক। কিন্তু এই পরকীয়া তাঁর ধরা পড়ে যায়। কদিন পর ২ জনের খোঁজ মিললে তাঁদের পঞ্চায়েতের সামনে হাজির করা হয়। পঞ্চায়েত প্রথমে ওই মহিলাকে স্বামীর কাছে ফিরে আসতে বলে। প্রেমিককে ভুলে যেতে পরামর্শ দেয়। কিন্তু ওই মহিলা সাফ জানিয়ে দেন তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘর করবেননা। প্রেমিকের সঙ্গেই নতুন করে ঘর বাঁধবেন।
অগত্যা ওই প্রেমিককে পঞ্চায়েত জানায় তার সামনে ২টি রাস্তা খোলা আছে। এক ওই মহিলাকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে এই পরকীয়ায় ইতি টানতে হবে। ওই মহিলাকে ভুলে যেতে হবে। নয়তো সে ওই মহিলাকে রেখে দিতে পারবে, যদি সে ক্ষতিপূরণ দেয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ তাকে ৭১টি ভেড়া ওই মহিলার স্বামীর হাতে তুলে দিতে হবে।
প্রেমিক দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তিনি জানান, ওই মহিলাকে তিনি ছাড়তে পারবেননা। বরং ৭১টি ভেড়া মহিলার স্বামীকে দিয়ে তিনি সারাজীবনের জন্য ওই মহিলাকে তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নেবেন। এই সিদ্ধান্তে ৩ পক্ষই সহমত হয়। ওই প্রেমিক মহিলার স্বামীর হাতে তাঁদের ভেড়ার পাল থেকে ৭১টি ভেড়া দিয়ে দেন। তারপর ওই মহিলাকে নিজের করে নিয়ে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে চলে আসেন নিজের বাড়িতে। কিন্তু নাটকের এখানেই শেষ নয়।
এই প্রেমিকের বাবা এবার সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে তাঁদের ১৪২টি ভেড়া আছে। তারমধ্যে ৭১টি ভেড়া ওই মহিলার স্বামী চুরি করেছেন। কোনও শর্তেই তিনি ওই ভেড়া দেবেন না। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত তিনি মানছেন না। তাঁর ভেড়াগুলো তাঁর ফেরত চাই।
এদিকে ওই ভেড়া ফেরত দিতে গেলে তাহলে ওই মহিলাকেও তাঁর স্বামীর হাতে ফিরিয়ে দিতে হয়। ওই মহিলা আবার পুলিশকে জানিয়ে দেন তিনি কিছুতেই আর তাঁর স্বামীর কাছে ফেরত যাবেননা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ পড়েছে মহা ফাঁপরে। আপাতত সকলকে নিয়ে বসে একটা রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা