মাত্র ১ দিন বা ২৪ ঘণ্টায় রবিবার যে বৃষ্টি হিমাচল প্রদেশ দেখল তা আগে কখনও হয়নি এই রাজ্যে। ফলে রেকর্ড। আর সেই রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নাজেহাল হিমাচলে এমন রেকর্ড গড়া বৃষ্টিতে একদিনে মৃত্যু হল ১৮ জনের। যার মধ্যে ৩টি শিশু। অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ধসে চাপা পড়ে। রবিবার হিমাচল জুড়ে অস্বাভাবিক তোড়ে বৃষ্টি হতে থাকে। ফলে খুব দ্রুত বিভিন্ন এলাকা শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছয়। হিমাচল প্রদেশের একটা বড় অংশই পাহাড়ি এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে সেসব পাহাড় থেকে অগুন্তি ধস নেমেছে। ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েন মানুষজন।
রাস্তায় ধস নেমে মাটি পাথর পড়ে থাকায় গাড়ি চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় সেসব রাস্তায়। ২ ধারে প্রচুর গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে আরোহীদের নিয়ে। এদিকে সকলের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে প্রবল বর্ষণ চলতে থাকে। যার জেরে অনেক পাহাড়ি এলাকায় হড়কা বানের সৃষ্টি হয়। মানালি-চণ্ডীগড় বা মানালি-যোগীন্দরনগর হাইওয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় ধস নেমে। তার ওপর রাস্তার ধারে ফুঁসছে বিপাশা নদী। হড়কা বানে কুলু শহরের একটি বেলি ব্রিজ ধুয়ে যায়। শতদ্রু নদীর ওপর তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম থেকে প্রচুর জল ছাড়ায় বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে এদিন।
সকলকে চমকে দিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে বৃষ্টি হিমাচলে রবিবার হয়েছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ হাজারেরও বেশি শতাংশ বেশি। ফলে হিমাচলের বড় বড় শহর যেমন, সিমলা, মান্ডি, কাঙরা, কুলুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সব নদীই ফুঁসছে। আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা