জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর রাজ্য জুড়ে সেনা মোতায়েন বাড়ায় কেন্দ্র। রাজধানী শ্রীনগরের রাস্তায় শুধু ছিল সেনার গাড়ি। প্রহরায় ছিলেন সেনা জওয়ানরা। এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ সবই ছিল বন্ধ। কার্যত কেউই ঘর থেকে বার হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এভাবে প্রায় দিন ১৫ কাটার পর অবশেষে সোমবার থেকে শ্রীনগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খুলতে শুরু করল স্কুল। তবে প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলা হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।
সোমবার থেকে প্রাথমিক স্কুলগুলির দরজা খুলেছে ঠিকই তবে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি নগণ্য। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ও পুলিশ স্কুলের পড়ুয়াদের হাজিরা ভাল ছিল। এর বাইরে অন্য স্কুলে পড়ুয়া প্রায় আসেনি বললেই চলে। অভিভাবকরা এখনও পরিস্থিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাঁরা নিশ্চিত নন যে স্কুলে গেলে তাঁদের ছেলেমেয়েরা সমস্যায় পড়বে না। তাই পড়াশোনার প্রয়োজন মেনে নিলেও সন্তানের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রশাসন অবশ্য সকলকে নিশ্চয়তা দিয়েছে। ক্রমশ জম্মু কাশ্মীরকে এবার স্বাভাবিকের পথে নিয়ে যাওয়া তাদের লক্ষ্য। সরকারি এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার এই কদিনে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। আর ক্ষতি তাঁরা চান না। বরং এই সময়ে যে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে তা স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর বন্দোবস্ত করে পুষিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। সোমবার স্কুলগুলিকে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা হাতে গোনা হলেও শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলেই হাজির ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা