তাদের সম্পর্ক অনেকদিনের। দুজনের প্রেমের সম্পর্কের কথা সকলেই জানতেন। কলেজে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল তার প্রেমিক। কিন্তু ৩ দিন আগে হঠাৎই অসমের বরপেটা জেলার নগাঁওয়ের বিবিকে কলেজের ছাত্রী রুনুমা আহমেদ জানতে পারে যে তার প্রেমিক তাকে ঠকিয়েছে। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ৩ দিন আগে মহিদুল ইসলাম অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। একথা জানতে পেরে মহিদুলকে কলেজে ডেকে পাঠায় রুনুমা। তার সঙ্গে কিছু কথা বলতে চায় বলে মহিদুলকে ডেকে পাঠায় ওই তরুণী।
এক বন্ধুকে সঙ্গে করে প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে কলেজে হাজির হয় মহিদুল। সেখানে রুনুমা তাদের সঙ্গে টুকটাক কথা বলতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর সে মহিদুলের সঙ্গে আসা বন্ধুকে জানায় তার মহিদুলের সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত কয়েকটা কথা আছে। তাই তিনি যেন ওদের একটু একা ছেড়ে দেন। একথা শোনার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই যুবক সেখান থেকে চলে যান। ওই যুবকর সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরই ব্যাগ থেকে একটি ধারালো ছোরা বার করে রুনুমা।
ছোরা বার করে কলজে চত্বরে সকলের সামনেই মহিদুলকে কোপাতে শুরু করে সে। তারপর মহিদুল রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে সেখান থেকে চলে যায় রুনুমা। দ্রুত সকলে মিলে মহিদুলকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই রুনুমার কোনও খোঁজ নেই। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা