মিড ডে মিলে ফ্যান ভাত আর নুন। এই ছিল প্রায় দিনের মেনু। খবর পেয়ে তা নিয়ে সোচ্চার হন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। এই ঘটনা সামনে আসার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয় চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে। পরদিন স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে শুরু হয় ভাতের সঙ্গে ডাল, ডিম দেওয়া। সেই ঘটনার কথা রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবু হয়তো শিক্ষা হয়নি। এবার উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে নুন ও রুটি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতে ফের শুরু হয়েছে তোলপাড়।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুদে পড়ুয়াদের প্লেটে স্রেফ নুন আর রুটি। তাই মিড মিল হিসাবে খেতে হচ্ছে তাদের। সেই ভিডিও সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়। যদিও ওই স্কুলে নাকি এমনই রেওয়াজ। প্রায়দিনই পড়ুয়াদের কপালে মিড ডে মিলে জোটে হয় রুটি-নুন। অথবা নুন-ভাত। স্কুলের অভিভাবকদের একাংশের দাবি, নুন-রুট বা নুন-ভাত, এটাই প্রাত্যহিক দেওয়া হয়। কদিচ কখনও ন’মাসে ছ’মাসে জোটে দুধ। আর কোনও দিন যদি কোনও গণ্যমান্য কারও আসার কথা থাকে তবে সেদিন মেনু বদলে যায়।
মিড ডে মিলের মেনু হিসাবে যে চার্ট রয়েছে তাতে অবশ্য পড়ুয়াদের পাতের জন্য অন্য কিছুই বরাদ্দ করেছে। তাতে রয়েছে পড়ুয়াদের দিতে হবে ডাল, রুটি, ভাত ও সবজি। বিশেষ কিছু দিনে ফল ও দুধের উল্লেখও রয়েছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে ওই স্কুলে করিডরে পড়ুয়াদের মেঝেতে বসে খেতে দেখা গেছে নুন-রুটি। জেলাশাসক পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা শাসকও প্রাথমিকভাবে টিচার ইনচার্জেরই দোষ দেখছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা