সকাল তখন ১১টা। দমকলের কাছে একটি ফোন আসে। অপরদিক থেকে উত্তেজনাপূর্ণ স্বরেই জানানো হয় হাউসবোটে আগুন লেগেছে। খবর পেয়েই দমকলের ২টি ইঞ্জিন সেখানে হাজির হয়। দমকল জানাচ্ছে, হাউসবোটটি নদীর পাড়ে নোঙর করা ছিল। কিন্তু আগুন লাগার পর কোনওভাবে নোঙর আলগা হয়ে হাউসবোটটি মাঝ নদীর দিকে ভেসে যেতে থাকে।
গোয়ার উত্তরাংশ দিয়ে বয়ে গেছে চাপোরা নদী। এখানেই হাউসবোটটি নোঙর করা ছিল। হাউসবোটটিতে একটি রেস্তোরাঁও ছিল। ভাসমান রেস্তোরাঁটিতে অনেকেই খেতে আসতেন। যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল রেস্তোরাঁটি। তবে যখন আগুন লাগে তখন রেস্তোরাঁয় কোনও লোকজন ছিলেননা। দমকলকর্মীরা ওই ভেসে যাওয়া হাউসবোটে উঠেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে হাউসবোটটির সিংহভাগ পুড়ে গিয়েছে।
আগুন কীভাবে লাগল তা এখনও পরিস্কার নয়। তার তদন্ত শুরু করেছে দমকল। তবে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে হাউসবোটটির ক্ষতি হলেও কোনও মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। হতাহতের খবর নেই। মোরঝিম তটের কাছে নোঙর করা হাউসবোটটিতে কেউ না থাকা সত্ত্বেও আগুন লাগল কীভাবে তা নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা