দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছিলেন একটা বড় ব্রেক পাওয়ার জন্য। কিন্তু বলিউডে ব্রেক পাওয়াটা বোধহয় অতটা সহজ নয়। ফলে মেজাজ হারাচ্ছিলেন তিনি। অনেক চেষ্টা করেও তেমন কোনও সাফল্য আসছিলনা জীবনে। হয়তো সেই মানসিক চাপটা সহ্য করতে পারলেননা তিনি। লড়তে পারলেননা আরও সময় দিয়ে। অন্তত প্রাথমিকভাবে তাই মনে করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে।
মুম্বইয়ের লোখন্ডওয়ালায় একটি বহুতলে ফ্ল্যাটে ভাড়া করে থাকতেন পার্ল পাঞ্জাবী নামে ওই তরুণী। সঙ্গে মা ছিলেন। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, দ্রুত মেজাজ হারানোর স্বভাব ছিল ওই তরুণীর। প্রায়ই মায়ের সঙ্গে প্রবল ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন তিনি। প্রবল মানসিক অবসাদেও ভুগতেন। শুক্রবার তিনি তাঁর ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন।
নিচে পড়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে কোকিলাবেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ওই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তদন্তও শুরু করে। তবে অভিনেত্রী সম্বন্ধে তারা বিশেষ কিছু বলতে চায়নি।
বলিউডের সোনালি জগতে স্বপ্নের নায়িকা হওয়ার একরাশ আশা নিয়ে বহু তরুণ তরুণীই হাজির হন মুম্বইতে। কিন্তু মায়ানগরীতে অনেককেই হতাশ হতে হয়। যে হতাশার সঙ্গে অনেকেই লড়তে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তাই হয়তো পার্ল পাঞ্জাবীর ঘটনা কোনও নতুন ঘটনা নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা