National

বিয়ে করতে না চাওয়ায় যৌনকর্মীকে হত্যা করে খালে ভাসিয়ে দিল প্রেমিক

বছর চারেক আগের কথা। দিল্লির জিবি রোডের একটি পতিতালয়ে লতা ওরফে সলমার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় আইয়ুবের। বলা যায় প্রথম দেখাতেই লতার প্রেমে পড়ে যায় আইয়ুব। তারপর ৪ বছর তাদের দেখা সাক্ষাৎ চলতে থাকে। ভালবাসা প্রগাঢ় হতে থাকে। আইয়ুব লতাকে ওই পতিতালয়ে যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করতে দিতে রাজি ছিলনা। সে চাইছিল লতাকে বিয়ে করতে। দিল্লি পুলিশ গত ২০ অগাস্ট দিল্লির বাওয়ানা খালে একটি খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার হলেও তা কার দেহ পরিস্কার করে বোঝা যাচ্ছিল না। ফলে পুলিশ নিখোঁজ নারী-পুরুষের সন্ধান শুরু করে। যাঁরা হালেই নিখোঁজ হয়েছেন।

পুলিশের এই খোঁজ চলার মধ্যেই গত শুক্রবার তারা সূত্র মারফত একটি খবর পায়। সেইমত তারা আইয়ুব নামে এক ৩২ বছরের যুবককে গ্রেফতার করে। আইয়ুব দিল্লি ছেড়ে দেশের অন্য একটি শহরে সংসার পাতার চেষ্টা করছিল। আইয়ুবকে হাতে পাওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে আইয়ুব অবশেষে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে সেই লতাকে হত্যা করেছে।


পুলিশকে আইয়ুব জানায়, লতাকে সে বিয়ে করতে চাইছিল। তাকে পতিতালয় থেকে বার করে আনার চেষ্টা করছিল। ওই জীবন থেকে বার করে আনার চেষ্টা করছিল। কিন্তু লতা তাতে রাজি হচ্ছিল না। লতার বক্তব্য ছিল আইয়ুবের যেহেতু আগে একটি বিয়ে রয়েছে, ১০ বছর ধরে সে বিবাহিত। তার ৩টি সন্তান রয়েছে। তাই তার সংসার ভাঙতে চাইছিল না লতা। কিন্তু আইয়ুব তখন লতার প্রেমে এতটাই মগ্ন যে সে এভাবে তাকে অস্বীকার মেনে নিতে পারেনি।

পরিকল্পনা করেই সে একটা স্কুটি ভাড়া করে লতাকে নিয়ে বেড়াতে বার হয়। তারপর তারা হাজির হয় বাওয়ানা খালের ধারে। সেখানে স্কুটিতে আগে থেকেই রেখে দেওয়া মাংস কাটার ছুরি দিয়ে সে লতার গলা কেটে তাকে হত্যা করে। তারপর যাতে কেউ চিনতে না পারে তাই দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে খালের জলে ভাসিয়ে দেয়। ঘটনার গভীরে যাওয়ার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button