বুধবার রাতেই শহরে পৌঁছনোর কথা নগর কীর্তন-এর। শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক দেব-এর জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে এই নগর কীর্তন বার হয়। যখন তা কোথাও পৌঁছয় তখন সেখানে বাজি পোড়ানো হয়। সেই নগর কীর্তনের জন্যই প্রচুর বাজি মজুত ও প্রস্তুত করা হয়েছিল পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার বাটালা শহরের একটি বাজি কারখানায়। কিন্তু নগর কীর্তন বাটালা পৌঁছনোর আগেই সেই বাজি কারখানায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। কান ফাটানো শব্দে বিস্ফোরণ হয় বাজি কারখানায়। কারখানাটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। বিস্ফোরণে আশপাশের অনেকগুলি বাড়ি ও একটি গাড়ি সারাইয়ের জায়গার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ থেকেই বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুমেয়।
এই বিস্ফোরণে ১৯ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ২৫ জন আহত। এঁদের অনেকেরই শরীরের একটা বড় অংশ পুড়ে গেছে। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের দাবি, এই বাজি কারখানাটি বেআইনি। তবু তা বছরের পর বছর ধরে চলছে। এলাকার মানুষ প্রশাসনকে বেশ কয়েকবার বিষয়টি জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালেও এখানে একটি বিস্ফোরণ হয়। যাতে ১ জনের প্রাণ যায়।
এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি ঘটনাস্থলে হাজির হন। পুরো বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেন। গুরদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সানি দেওলও এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় ফের বেআইনি বাজি কারখানার রমরমিয়ে ব্যবসা সামনে এসে পড়ল বলে মনে করছেন অনেকে। যা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা