জাতীয় স্তরের এক কিশোরী সাঁতারুকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল একসময়ের প্রখ্যাত সাঁতারু তথা গোয়া সাঁতার সংগঠনের প্রধান প্রশিক্ষক পদে থাকা বাঙালি সাঁতারু সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই কিশোরীর অভিযোগ বিভিন্ন সময়েই তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করত ওই কোচ। একদিন একটি ঘরে তাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করে ওই কিশোরী লুকিয়ে তোলা সেই ভিডিও প্রকাশ করে। সেই ভিডিও আরও প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন এক সিনেমা পরিচালক। সেটি তিনি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে ট্যাগ করেন। তারপরই ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জাতীয় সাঁতার সংগঠনকে নির্দেশ দেন ওই কোচকে যেন বরখাস্ত করা হয়। আর সে যেন আর কোথাও কোচিং করানোর সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করা।
মন্ত্রীর নির্দেশ আসার পরই সংগঠনের তরফে পদক্ষেপ করা হয়। গোয়ার প্রধান সাঁতার কোচের পদ থেকে সরানো হয় সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়। গোয়া পুলিশ আলাদা করে মামলা করে। অন্যদিকে ওই কিশোরীর বাবা এ রাজ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই উধাও সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
গোয়া পুলিশ এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। গোয়া পুলিশ তাদের ৩টি দলকে কলকাতা, ভোপাল ও বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনও অভিযুক্তের নাগাল পায়নি তারা। পুলিশের তরফে আপাতত হন্যে হয়ে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খোঁজা চলছে। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে তোলপাড় ফেলেছে। ওই কোচের কড়া শাস্তি চাইছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা