বড় সাফল্য পেল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-র অন্যতম প্রধান নেতা আসিফ মকবুল ভাটকে গুলি করে মারল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের গুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে এই জঙ্গি নেতাকে গুলি করে খতম করতে সমর্থ হয় পুলিশ। বুধবার সকালে সোপোরে গুলির লড়াই শুরু হয় পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে। পুলিশ আসিফকে ধরার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে আসিফ। যার জেরে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির লড়াইয়ে অবশেষে মৃত্যু হয় আসিফের। এমনই জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সোপোরের অন্যতম আপেল ব্যবসায়ী হাজি হামিদুল্লার ওপর আক্রমণ করে আসিফ। হামিদুল্লার পরিবারের ওপর আক্রমণ হয়। তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামিদুল্লার পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় আসিফ। সেই গুলিতে ৪ জন আহত হন। যার মধ্যে এক বালিকা রয়েছে। ওই বালিকা হামিদুল্লার মেয়ে আসমা। যার এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
কদিন ধরেই আসিফ ও তার দলবল সোপোরে লুকিয়ে হুমকি চিঠি প্রিন্ট করছিল। প্রিন্ট করছিল পোস্টার। তারপর তা সবার অলক্ষ্যে লাগিয়ে দিচ্ছিল। হুমকি চিঠি বা পোস্টারে তারা সকলকে ফল ব্যবসা থেকে দূরে থাকতে বলছিল। দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলছিল। পুলিশ সেসব কম্পিউটার ও প্রিন্টারের খোঁজ পায়। গ্রেফতার হয় কয়েকজন। তারপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেশ কিছু জায়গায় চেক নাকা তৈরি করে পুলিশ। সেখানে আসিফ ভাট আসতেই তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা হয়। তারপরই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করে সে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা