তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ৭ লক্ষ টাকা। তার খবর দিতে পারলে মিলতে পারত ওই বিশাল অঙ্ক। একদম সরকারের কোষাগার থেকে। কিন্তু সে সুযোগ আর কেউ পেলেননা। তার আগেই পুলিশের গুলি শেষ করে দিল বাবলি কল-কে। কুখ্যাত ওয়ান্টেড ডাকাত বাবলি ছিল এলাকার ত্রাস। ডেরা ছিল মধ্যপ্রদেশের লেদরি জঙ্গলে। গহন জঙ্গলে কোথায় যে সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে করে গা ঢাকা দিয়ে থাকত তা কারও জানা ছিলনা। সন্ত্রাসবাদী, খুনি, চোর এসবের মাঝে ডাকাত শব্দটা একটু বেমানান। ডাকাত যেন এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। কিন্তু বাবলি ছিল এক দুর্ধর্ষ ডাকাত। ৩৮ বছরের বাবলির ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত এলাকা।
পুলিশ বহু দিন ধরেই খুঁজছিল বাবলিকে। কিন্তু নাগাল পাচ্ছিল না। ফলে মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ৭ লক্ষ টাকা। নেহাত কম নয়। টাকার অঙ্ক বুঝিয়ে দিচ্ছে তাকে ধরতে কতটা মরিয়া ছিল পুলিশ। গত রবিবার সেই ভয়ংকর ডাকাত বাবলির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়ায়। যেখানে এও খবর ছড়ায় যে ২ দল ডাকাতের মধ্যে লড়াইতে বাবলির মৃত্যু হয়েছে। যদিও মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এদিন জানিয়ে দিয়েছে কোনও ডাকাত দলের লড়াই নয়, তাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় বাবলি কলের। তার ডানহাত বলে পরিচিত লভলেশেরও একইসঙ্গে মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে।
বুন্দেলখণ্ড এলাকা জুড়ে ছিল বাললির রাজ। এখানে সে ছিল ত্রাস। গত ১৫ অগাস্টেও চিত্রকূটের একটি গ্রাম থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সে। আগে বালখাদিয়া ডাকাত দলের সদস্য থাকলেও ডাকাত দলের নেতার গুলিতে মৃত্যুর পর বাবলি নিজের ডাকাতদল তৈরি করে। তারপর খুব অল্প সময়ে এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠে। যদিও এই অঞ্চলে যে কটি ডাকাতদল রয়েছে তা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। স্থানীয় নেতাদের যথেষ্ট মদত থাকে তাদের পিছনে বলেই কানাঘুষো শোনা যায়। পুলিশ জানাচ্ছে বাবলি কলের মৃত্যু এলাকায় শান্তি ফেরাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা