বিচার তাঁর চাই। বাবার খুনিকে ধরে দিতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারা তাঁর বাবাকে খুন করেছে তাদের দুজনের নামও তিনি দিয়েছেন পুলিশকে। অথচ অভিযুক্ত দুজনই বাইরে। বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সংখ্যালঘু কমিশন। সব জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই এবার প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে তিনি প্রতিদিন মাথা কামাচ্ছেন।
ওই যুবতী সাফ জানিয়েছেন যতদিন না তাঁর বাবার খুনিদের ধরা হচ্ছে, তিনি ও তাঁর পরিবার বিচার পাচ্ছে, ততদিন তিনি তাঁর মাথার চুল বড় হতে দেবেন না। মাথা কামিয়ে যাবেন। প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে মাথা কামাচ্ছেন। তাঁর মাথা কামানোর এই অভিনব প্রতিবাদের কথা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ওই যুবতীর এই অভিনব পথ নেওয়া। যা ইতিমধ্যেই সত্যি সত্যিই সকলের নজর কেড়েছে।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলার নয়াবাদ এলাকায় একটি মূক ও বধিরদের স্কুল চালান ওই যুবতী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন হন ওই যুবতীর পিতা। এই ঘটনায় প্রতিবেশি ২ ব্যক্তি বীরেন্দ্র কুমার ও রাজীব কুমার নামে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। তাঁর দাবি এই দুজনই তাঁর বাবার হত্যাকারী। বাবাকে হত্যা করে বারান্দা থেকে ছুঁড়ে দেয় এরা। পুলিশ অবশ্য এখনও এদের ধরে উঠতে পারেনি। ওই যুবতীও জানিয়ে দিয়েছেন যতদিন না পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে ততদিন তিনি মাথা কামানো বন্ধ করবেননা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা