শাশুড়ি-বউমার পারিবারিক অশান্তি নতুন কিছু নয়। তেমনই ঝগড়া হত শাশুড়ি-বউমার মধ্যে। যা ছিল প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। পরিবারে সদস্য বলতে শাশুড়ি, বউমা আর ২ বছরের এক ছোট্ট মেয়ে। বউমা আজিয়া রডরিজ তাঁর ২ বছরের কন্যাকে নিয়ে থাকতেন শাশুড়ির সঙ্গে। স্বামী ক্রুজ শিপে কাজ করেন। ফলে তিনি কর্মসূত্রে দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। এর মাঝেই ঘটে গেল এক ভয়ংকর ঘটনা। মধ্যরাতে পুলিশ কিনারা করল রহস্যের।
পুলিশ জানাচ্ছে, একটা প্রবল হতাশা কাজ করত মধ্যবয়সী মহিলা আজিয়ার মধ্যে। সেই হতাশা থেকেই সে তার ২ বছরের কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। কিন্তু সেই হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার না করে সে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে। আজিয়া পুলিশকে প্রায় বুঝিয়েই ফেলে যে তার শাশুড়িই তার মেয়েকে হত্যা করেছে। যদিও পুলিশের মনে সন্দেহ একটা ছিল। তাই মাঝরাতেই আজিয়া আর তার শাশুড়ি সেবাস্তিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা।
সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের নানা প্রশ্নের মুখে এক সময় ভেঙে পড়ে আজিয়া। স্বীকার করে প্রবল হতাশা থেকেই সে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। তাকে গোয়ার সমুদ্র সৈকতের ধারের গ্রাম বেতালবাতিম থেকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ। ২ বছরের শিশুর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আজিয়ার স্বামীকে খবর পাঠানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা