ভারতে যে ই-সিগারেট বন্ধ হতে চলেছে তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে বুধবার সরকারিভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেল। ফলে আগামী দিনে ভারতে ই-সিগারেট তৈরি, বিক্রি, জমা করা, আমদানি বা রফতানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হল। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সমর্থন করেছেন চিকিৎসকেরা। যদিও এমন আচমকা সিদ্ধান্তে বেজায় অখুশি ই-সিগারেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ই-সিগারেট কিছুটা কম ক্ষতিকারক প্রচলিত সিগারেটের চেয়ে। কিন্তু ই-সিগারেটে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয় তা ফুসফুস ও সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যা একটা বড় সময়ের পর ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা ই-সিগারেট বন্ধে খুশি হলেও প্রবল অখুশি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সংগঠন ট্রেনডস-এর তরফে জানানো হয়েছে, একটা অংশের দেওয়া বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও চিকিৎসাজনিত পরামর্শকে সামনে রেখে এমন আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হল ই-সিগারেট। যে সিদ্ধান্ত অত্যন্ত হাস্যকর ও খামখেয়ালি। বন্ধ করার আগে তাদের সঙ্গে একটাও বৈঠক করল না সরকার। এটা গণতান্ত্রিক নিয়মের হত্যা ছাড়া আর কিছু নয়।
ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহলের দাবি, ই-সিগারেট বিশ্বের ৭০টি উন্নত দেশে ব্যবহৃত হয়। সেখানে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই, অথচ ভারতে একটি লবির চাপে এটিকে ব্যান করা হল। প্রসঙ্গত প্রচলিত সিগারেট থেকে ধূমপান বন্ধ করতে ও যাঁরা ধূমপানে আসক্ত তাঁদের ধূমপান থেকে বিরত করতে বাজারে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই এসেছিল ই-সিগারেট। যা দ্রুত বাজারে ছেয়ে যায়। বিক্রিও বাড়তে থাকে হুহু করে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ফুসফুস জনিত সমস্যা ই-সিগারেট নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। অবশেষে সরকার ভারতে ই-সিগারেটের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা