এক আইন কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক বিজেপি নেতা তথা স্বঘোষিত ধর্মগুরু চিন্ময়ানন্দ। ওই ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, তিনি যখন কলেজ হস্টেলের বাথরুমে স্নান করছিলেন তখন লুকিয়ে তা ভিডিও করে চিন্ময়ানন্দ। তারপর সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। মুখ খুললে ওই তরুণীর পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে বলেও নাকি ভয় দেখায় ওই বিজেপি নেতা। ওই ছাত্রীর বক্তব্য সম্প্রতি বন্ধ দরজার পিছনে শোনে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেয় অবিলম্বে সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে। সেইসঙ্গে ওই ২৩ বছরের কলেজ ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশর পরও উত্তরপ্রদেশ সরকার চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে না। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওই ছাত্রী হুমকি দেন এই তদন্ত না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। অবশেষে চাপের মুখে সিট গঠন করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কিন্তু সেই সিট চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। অবশেষে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে চিন্ময়ানন্দের মুমুক্ষু আশ্রম থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিট। চিন্ময়ানন্দকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই তরুণী গত ২৩ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। মুখ খোলেন পুরো বিষয়টি জানিয়ে। কিন্তু তারপর দিন থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরে রাজস্থান থেকে তাঁকে খুঁজে পায় পুলিশ। ওই তরুণী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি একটি চশমা পড়ে চিন্ময়ানন্দের কাছে গিয়েছিলেন। সেই চশমায় একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল। সেই ক্যামেরায় তাঁর সঙ্গে চিন্ময়ানন্দের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ধরা পড়ে। সেখানে পোশাকহীন অবস্থায় চিন্ময়ানন্দকে বেশ কিছু কথাও বলতে দেখা যায়। এগুলি প্রমাণ হিসাবে কাজে আসবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এভাবে এক কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে চিন্ময়ানন্দের মত বিজেপি নেতার গ্রেফতারি অবশ্যই বিজেপির জন্য সুখের হল না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা