পরিবার পরিকল্পনা আবার কী! খায়, না মাথায় দেয়! ওসব পরিবার পরিকল্পনায় তিনি বিশ্বাস করেননা। তাঁর অদ্যাবধি ১৫টি সন্তান রয়েছে। আর ঈশ্বর চাইলে আরও হবে বলে মনে করেন তিনি। ১৫ সন্তানের জননী কিন্তু একজন নন। ১৫ সন্তানের পিতার ৩টি বিয়ে। অন্তত এখনও পর্যন্ত! এই ৩ স্ত্রীয়ের মোট সন্তান সংখ্যা ১৫। ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তির বিশ্বাস ঈশ্বর যখন সন্তানদের পাঠিয়েছেন তাদের পেট ভরানোর ব্যবস্থাও তিনিই করবেন। ও নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তিনি চান তাঁর পরিবার যেন জেলার সবচেয়ে বড় পরিবার হয়।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের বুধিয়া কলন গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শরিফ। তাঁর যখন ১৪ বছর বয়স তখন প্রথম বিয়ে। জাত্তা বেগম নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন তিনি। সেই জাত্তা বেগমের গর্ভে জন্ম নেয় ৩ পুত্র ও ৫ কন্যা। এরপর ৯০-এর দশকে শরিফের ভাল লেগে যায় নূরকে। বিয়ে করে ফেলেন তাঁকে। এই নূরের গর্ভে জন্ম নেয় ৪ কন্যা ও ১ পুত্র। ২০০০ সালে নতুন শতাব্দীর শুরুতেই শরিফের ফের বিয়ের শখ হয়। নতুন শতাব্দী, নতুন বউ! বিয়ে করে ফেলেন তরন্নুম বেগমকে। ইনি আবার নেপালের বংশোদ্ভূত। তরন্নুম বেগম শরিফকে উপহার দিয়েছেন ১ পুত্র ও ১ কন্যা।
শরিফ পেশায় একজন চাষি। তবে তাঁর জমি নেই। অন্যের জমিতে চাষ করে তাঁর সংসার চলে। শরিফ বলছেন তিনি মজুরি পান, আর সেই সঙ্গে কিছু শস্য পান। তাতেই তাঁর দিব্যি চলে যাচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, ৩ স্ত্রী ও ১৫ সন্তান নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। ৩ স্ত্রীয়ের কখনও ঝগড়া হয়না। এক সুন্দর সহাবস্থান। শুধু মুশকিল একটাই। ১৫ সন্তানের নাম কিছুতেই মনে রাখতে পারেননা শরিফ। শুধু সন্ধে নামলে তিনি মাথা গুণে বাড়িতে ঢোকান সকলকে। গুণতি মিলে গেলেই শান্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা