পুজোর সময় অনেকেই বাইরে বেড়াতে চলে যান। পুজোয় ছুটি তো থাকেই। সেইসঙ্গে পুজোর সময় অনেকে পুজোর ভিড়ভাড় এড়িয়ে পরিবার নিয়ে বাইরে ঘুরতে পছন্দও করেন। ফলে পুজোর সময় বাঙালি পর্যটকরা আগেভাগেই টিকিট কেটে ফেলেন। পুজোয় ট্রেনগুলোতে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু বিহার ও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে যেভাবে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে তাতে মহালয়ার আগের দিন থেকেই বিভিন্ন রুটে ট্রেন বন্ধ। জলে ভাসছে জেলার পর জেলা।
মৌসম ভবন আবার চিন্তার ভাঁজ আরও পুরু করেছে। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। তাও আবার সাধারণ বৃষ্টি নয়। অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিহারের বহু এলাকায় জল বেড়ে ট্রেন লাইন ভাসিয়ে দিয়েছে। লাইনের ওপর দিয়ে বইছে জল। ফলে সেসব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। কিছু রুটে একবার চালু হচ্ছে তো ফের বন্ধ হচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে গয়া-কোডারমা রুট। সমস্তিপুর-দ্বারভাঙ্গার মধ্যে ট্রেন বাতিল হয়েছে। বাতিল হয়েছে গয়া-কোডারমা ট্রেনও। এছাড়া আরা, সাসারাম বা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন থেকে বিভিন্ন রুটে যাওয়া বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে।
বাঙালি পর্যটকেরা এই সময় অনেকেই উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যান। তাঁদের অবস্থা সবচেয়ে সাংঘাতিক। কারণ কদিন বাদেই তাঁদের ট্রেন। কিন্তু যেভাবে বৃষ্টি বেড়েই চলেছে আর যেভাবে ট্রেন বাতিল হয়েই চলেছে তাতে দূরপাল্লার অনেক রুটই প্রভাবিত হতে বাধ্য। যার শিকার তাঁরাও হতে পারেন বলে আশঙ্কায় রয়েছেন সকলে। কারণ তাঁদের বিহার বা উত্তরপ্রদেশর ওপর দিয়ে যেতেই হবে। আর সেখানেই বৃষ্টি ভয়ংকর চেহারা ধারণ করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা