১০ দিনের লড়াই। আর তাতেই জন্ম নিল এক চমকে দেওয়া অতিকায় গ্রিটিংস কার্ড। যা বহরে ১ হাজার ফুট! এই ১ হাজার ফুটের গ্রিটিংস কার্ড প্রথমে স্কেচ ও পরে রঙ করেছেন পড়ুয়ারা। এই কাজ সম্পূর্ণ করেছেন ৬০ জন পড়ুয়া। তাঁদের হাতের শিল্প চেতনা ও অভিনবত্ব ফুটে উঠেছে এই গ্রিটিংস কার্ড-এ। ভারতে এটাই এযাবৎ সবচেয়ে বড় গ্রিটিংস কার্ড বলে দাবি করেছেন পড়ুয়াদের এই কাজে উৎসাহদাতা প্রবীণ আগরওয়াল।
কিন্তু কেন এই অতিকায় গ্রিটিংস কার্ড-এর ভাবনা? পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, সামনেই গান্ধী জয়ন্তী। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। ওইদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁরা এই গ্রিটিংস কার্ডটি তৈরি করেছেন। তাঁরা চান ভারত এক উন্নত দেশে পরিণত হোক। তাঁরা চান ভারত হোক দুর্নীতিমুক্ত এক রাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের এই উদ্যোগ। সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই তাঁদের এই খাটনি। তাঁরা গান্ধীজির দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।
এই কার্ডের একটি ডিজিটাল ভার্সন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পাঠাচ্ছেন। কার্ডটি তৈরি করেছেন ফিরোজাবাদের ৬০ পড়ুয়া। কার্ডটি সকলের দেখার জন্য স্থানীয় মহাত্মা গান্ধী পার্ক রাখা থাকবে। সেখানে এলেই এই ঐতিহাসিক কীর্তির দর্শন পাবেন সাধারণ মানুষ। এটা পরিস্কার যে কার্ডটি দেখতে ভিড় নেহাত কম হবেনা। এমন অতিকায় কার্ড যখন শহরে রাখাই রয়েছে তখন দেখার সুযোগ খুব কম মানুষই ছাড়বেন। তাই সুরক্ষা বন্দোবস্তও পাকা করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা