বয়স ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে। মাস দুয়েক হল বাঘটি মানুষখেকোতে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার শিকার হয়েছেন ২ জন। প্রথমজন মাঠে গরু চড়িয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর ওপর চড়াও হয় বাঘটি। সেটিই তার প্রথম মানুষ শিকার। সেটা ছিল সেপ্টেম্বরে। এরপর বোধহয় মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে সে। কিছুদিন আগে ফের সে মানুষ শিকার করে। এবার তার পেটে যান এক অশীতিপর বৃদ্ধ।
মানুষখেকোয় পরিণত হওয়া এই বাঘকে তো আর ছেড়ে রাখা যায়না। তাই পুরোদমে বাঘ ধরতে নেমে পড়েছে বন দফতর। তবে তাদের কাছে বাঘটিকে গুলি করার কোনও নির্দেশ নেই। তাদের কেবল বাঘটিকে জ্যান্ত অবস্থায় ধরতে বলা হয়েছে। ফলে শুরু হয়েছে জঙ্গল চষে ফেলা। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া।
কর্ণাটকের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হল বান্দিপুর টাইগার রিজার্ভ। ৮৭২ বর্গ কিলোমিটারের ঘন জঙ্গলে বাঘের নিশ্চিন্ত বসবাস। চামারাজানগর জেলায় অবস্থিত এই অভয়ারণ্যের একটি বাঘ মানুষখেকো হয়ে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে বন দফতরের। যাতে আর কেউ তার শিকার না হন সেজন্য উঠে পড়ে লেগেছেন আধিকারিকরা। বাঘের খোঁজ পেতে কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোন। যা আকাশপথে জঙ্গলের ওপর ঘুরে বাঘটি কোথায় লুকিয়ে আছে তা খুঁজবে। এছাড়া ৩টি হাতিতে জঙ্গল চষে ফেলা হচ্ছে। ২০০ টি ক্যামেরাও লুকিয়ে রাখা রয়েছে জঙ্গলের আনাচে কানাচে। ৫টি দল তৈরি করে খোঁজ চলছে মানুষখেকো বাঘটির।
এখনও নাগাল না পাওয়া গেলেও তাকে দ্রুত ধরা যাবে বলেই মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। এরমধ্যে মানুষখেকোর খবর পেয়ে কয়েকজন শিকারি হায়দরাবাদ থেকে এখানে হাজির হন। কিন্তু তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় শিকার নয়, বাঘটিকে গুলি করে নয়, জ্যান্ত অবস্থায় তাকে পাকড়াও করার আদেশ রয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে তাদের সঙ্গে দক্ষ পশু চিকিৎসকরা রয়েছেন। তাঁরা জানেন কীভাবে বাঘটিকে চোট না করে পাকড়াও করতে হবে। তবে ঘন জঙ্গলে কোথায় সে লুকিয়ে আছে সেটাই এখন খুঁজে বার করা বন দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা