বৈষ্ণোদেবী দর্শনের পর পুণ্যার্থীদের নিয়ে ফিরছিল বেসরকারি একটি বাস। বাসে পুণ্যার্থীর সংখ্যা নেহাত কম ছিলনা। শুক্রবার মধ্যরাতে বাসটি প্রবল গতিতে ছুটে যাচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের কাছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে রাস্তার ধারের ফুটপাথে। সেখানে তখন ৪ জন মহিলা শুয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ৩টি শিশুও শুয়ে ছিল। রাতের অন্ধকারে তাঁদের ওপর চড়ে যায় প্রবল গতির বাসটি। বাসের চাকায় পিষে যান ৭ জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রত্যেকের।
যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তারা একই পরিবারের সদস্য। হাথরাস এলাকার বাসিন্দা। সেখান থেকে ওই ৪ মহিলা তাঁদের ৩ সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন নারাউরা ঘাটে। সেখানে গঙ্গায় পুণ্যস্নান সারতেই যাওয়া। হয়তো দশেরাকে সামনে রেখেই তাঁরা গঙ্গাস্নানে গিয়েছিলেন। সেই পুণ্যস্নান সেরে ফিরছিলেন বাড়িতে। রাতে ফুটপাথেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু সেই রাতই হল তাঁদের জীবনের শেষ রাত। মুহুর্তে শেষ হয়ে গেল ৭টি জীবন।
ঘটনার পর পুলিশ ৭টি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। বাসের চালককে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক। এদিকে এভাবে বেপরোয়া বাস চালানোর জেরে ৪ মহিলা ও ৩ শিশুর এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। চালককে পাকড়াও করতে পারলে অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা