একটি দোতলা বাড়িতে ছিল গ্যাসের সিলিন্ডারটি। তাতেই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণে দোতলা বাড়িটি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে। আশপাশের মানুষ সেই তীব্র শব্দে আঁতকে ওঠেন। ছুটে বেরিয়ে আসেন যে যাঁর ঘর থেকে। দেখেন বাড়িটি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। আগুন লেগে গেছে। কালো ধোঁয়া বার হচ্ছে। ওই বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে এক এক করে ১১টি দেহ বার করে আনা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাউ জেলার ওয়ালিদপুর গ্রামে। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের যাবতীয় প্রয়োজন দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই বিস্ফোরণে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার সবরকম বন্দোবস্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে হাজির হন সকলে।
পুলিশের অনুমান পুরো ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করা গেলে আরও আহত ও নিহত ব্যক্তির হদিস মিলতে পারে। ঘটনার পর এলাকায় কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। হাজির হয় পুলিশ। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধারকাজে পুলিশের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় মানুষও। এদিকে ঠিক কী কারণে গ্যাস সিলিন্ডারটি ফাটল তা এখনও অজানা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা