এ দুনিয়ায় এখনও এমন অনেক চমৎকার ঘটে যার ব্যাখ্যা নেই। তাই তাকে কাকতালীয় বলে পাশ কাটিয়ে যাই সকলে। তেমনই এক ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের বরেলি। মেয়ের জন্মের পর সামান্য সময়ের অপেক্ষা। তারপরই তার মৃত্যু হয়। সদ্যোজাত মেয়েকে হারানোর কষ্ট সামলে বাবা তাকে মুড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মাটি খুঁড়ে কবর দিতে। সেইমত মাটি খুঁড়তে শুরু করেন তিনি। চোখে জল নিয়ে মেয়েকে কবর দিতে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকাই তাঁর সাবল একটা কিছুতে ধাক্কা মারে। তিনি দেখেন মাটির ৩ ফুট গভীরে একটি পাত্র রয়েছে। মাটির তলায় পোঁতা। আর সেই পাত্রের মধ্যে রয়েছে আরও এক শিশুকন্যা।
ওই শিশুকন্যাকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তার শ্বাসপ্রশ্বাস খুব দ্রুত পড়ছিল। কিন্তু দেহে প্রাণ ছিল। হাসপাতালে তাকে চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে আপাতত শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার বাবা-মার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। যারা ওই শিশুটিকে জ্যান্ত কবর দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে ঠিক ওই জায়গাতেই নিজের মৃত সন্তানকে কবর দিতে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন হিতেশ কুমার সিরোহি।
হিতেশের স্ত্রী বৈশালী পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর। গত সপ্তাহে তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৭ মাসের এক শিশুকন্যার জন্ম দেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। সেই শিশুকে কবর দিতে গিয়েই আর এক শিশুকে জীবন ফিরিয়ে দিলেন হিতেশ। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ওই কন্যার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এদিকে সন্তান হারানো হিতেশ ও তাঁর স্ত্রী বৈশালী ওই শিশুকন্যাকে দত্তক নিতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা