টিভির পর্দার পরিচিত মুখ তিনি। কেরিয়ার গ্রাফ যথেষ্ট ভাল। কিন্তু ওই চ্যানেলেরই এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এদিকে স্ত্রী একদিন সব জেনে ফেলেন। এই নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। যা ক্রমশ বাড়ছিল। আর তার চরম পরিণতি দিতে হল স্ত্রীকে। এদিকে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় ওই টিভি অ্যাংকর বলেই নয়, তাঁর প্রেমিকা ও এই খুনে ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করা তার বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনাই আবর্তিত হয়েছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। ঘটনার সূত্রপাত চ্যানেলে কাজ করতে আসা ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর।
দিল্লির একটি টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় মুখ অজিতেশ মিশ্র। অজিতেশ বিয়ে করেছিলেন দিব্যাকে। দিব্যার সঙ্গে তাঁর সুখের সংসার। অ্যাংকর হিসাবেও খ্যাতি অজিতেশের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করে তুলছিল। ঠিক সেই সময় ওই চ্যানেলে যোগ দেন দিল্লির তরুণী ভাবনা আর্য। ভাবনার সঙ্গে ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে অজিতেশের। যা ভালভাবেই জানতেন অজিতেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা সহকর্মী অখিল কুমার সিং।
অজিতেশ যে ভাবনা আর্যর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন সেকথা একসময়ে জানতে পেরে যান দিব্যা। ফলে ঘরবালি, বাহারবালি দুকূল রাখা অজিতেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়। স্ত্রীর সঙ্গে ক্রমশ তলানিতে ঠেকতে থাকে সম্পর্ক। প্রায়দিন তাঁদের মধ্যে ভাবনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া লেগে থাকত। এমন চলতে চলতে একদিন দিব্যা সরাসরি ফোন করে বসেন ভাবনাকে। তারপর ফোনেই একগুচ্ছ কড়া কথা শুনিয়ে দেন। যা অজিতেশের কানে যেতে তিনি রাগে অন্ধ হয়ে যান। তাঁর প্রেমিকার প্রতি স্ত্রীর আচরণ মেনে নিতে না পেরে এই ঝঞ্ঝাটে ইতি টানার ভয়ংকর পরিকল্পনা করেন অজিতেশ।
অজিতেশ তাঁর বন্ধু অখিলের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তারপর একদিন নিজের অবর্তমানে বাড়িতে অখিলকে পাঠান। অখিল পরিকল্পনামত অজিতেশের বাড়িতে হাজির হয়। দিব্যা তাকে চিনতেন। ফলে অখিলকে ভিতরে আসতে দেন। ভিতরে ঢুকে একটি ফুলদানি নিয়ে দিব্যার মাথায় একের পর পর আঘাত করে অখিল। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দিব্যা। মৃত্যু হয় তাঁর। অখিল সেখান থেকে চম্পট দেয়।
এই ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ অক্টোবর। পুলিশ তদন্তে নেমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ কুকুরের সাহায্যে মাত্র ২ দিনের মধ্যেই অখিল, অজিতেশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অজিতেশ সহ গ্রেফতার করা হয় ভাবনা ও অখিলকে। ৩ জনই এখন পুলিশের হেফাজতে। এই ঘটনায় রীতিমত হৈচৈ পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার কাতরা বাল সিং এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা