গলা তেষ্টায় ফেটে যাচ্ছিল। জল পান না করে থাকতে পারছিলনা ওই কিশোরী। মাকে সে বলে কাছেই একটা টিউবওয়েল রয়েছে। সেখানে গিয়ে একটু তেষ্টা মিটিয়ে আসছে। মেয়ের তেষ্টা দেখে মাও আর আপত্তি করেননি। কিন্তু টিউবওয়েলে জল পানের সময় ওই কিশোরীর ওপর নজর পড়ে ওই টিউবওয়েলের পাশেই একটি বাড়ির বাসিন্দা কুন্দন কুমারের। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ ওই কুন্দন কুমারই তাঁর মেয়েকে টিউবওয়েল থেকে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্তিয়ারপুরের একটি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে মায়ের সঙ্গে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। তারপর তার পিপাসা পাওয়ায় টিউবওয়েলে যায়। এদিকে দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর মা। ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগ তাঁর মেয়েকে কুন্দন কুমারই ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।
কিশোরীর মা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, কুন্দন তাঁর মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ করে তাকে গলা টিপে হত্যা করে। তারপর তার দেহ একটি বস্তায় পুরে তার বাড়ির ছাদে ফেলে রাখে। পুলিশ ওই কিশোরীর মায়ের অভিযোগক্রমে কুন্দনের বাড়িতে হাজির হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মেয়েটির দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কুন্দন সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা