স্কুলের সামনে থেকে পড়ুয়াদের ভ্যানে তোলে চালক। পুলকারের মতই ভ্যানটি ছাত্রদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে। ভ্যানে ২২ জন পড়ুয়াকে তুলে গত শুক্রবার বিকেলে ভ্যানটি স্কুল থেকে বার হওয়ার জন্য পিছনের দিকে যায়। আর ঠিক সেই সময় ব্যাক করতে গিয়ে ভ্যানের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক। এদিকে যেখানে ভ্যানটি ব্যাক করানো হচ্ছিল সেখানে একটি বিশাল কুয়ো রয়েছে। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্রমশ কুয়োর দিকে যেতে থাকে।
২৫ ফুট গভীর কুয়োটি জলে ভর্তি। কুয়োর চারপাশে একটি তারের বেড়া দেওয়া। কিন্তু গাড়ির ভারে সেই তার যায় সহজেই ছিঁড়ে। আর ভ্যানটি ২২ পড়ুয়া সমেত গিয়ে পড়ে কুয়োয়। ভ্যানটি ডুবতে শুরু করলে ভ্যান চালক লাফ দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেয়। ভ্যানটি ডুবতে থাকে। পড়ুয়ারা আর্তনাদ করতে থাকে। অবশেষে ভ্যানটিকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৩ শিশুর মধ্যে ২ জন কেজি ক্লাসের ছাত্র। ১ জন প্রথম শ্রেণির।
ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা চালক। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাজাপুরের রিছোড়া গ্রামে। ঘটনায় মৃত পড়ুয়াদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। হাসপাতালে ভর্তি পড়ুয়াদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তাদের যাবতীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা