পড়াশোনায় তার সুনাম ছিল। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজে পড়ানোর সুযোগ পায়। সেখানেই পড়াত কেরালারা বাসিন্দা অ্যালেন স্ট্যানলে। মায়ের সঙ্গে থাকত দিল্লিতেই। পুলিশ জানাচ্ছে পড়াশোনায় কৃতী অ্যালেন কয়েকদিন আগে মাকে আত্মহত্যার জন্য জোর করতে থাকে। মা তাতে রাজি না হওয়ায় অগত্যা মাকে হত্যা করে সে। এদিকে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে অ্যালেনের মা লুসি কেরালায় একজনকে আত্মহত্যায় উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হন। পরে জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। সেই লুসিকে ৫ দিন আগে ছেলের হাতেই খুন হতে হয়। পুলিশ লুসির দেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
মাকে হত্যার অভিযোগে অ্যালেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তাকে খুঁজছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই সময় তাঁরা একটি খবর পান। পুলিশ জানতে পারে দিল্লির কাছে রোহিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে একটি ২ টুকরো দেহ পড়ে আছে। পুলিশ শনিবার এই খবর পায়। দেহ উদ্ধার করে। দেহের পকেট থেকে কিছু কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পান পুলিশ আধিকারিকরা। সেই দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন দেহটি অ্যালেনের।
অ্যালেন কেরালার কোট্টায়াম এলাকার বাসিন্দা। দিল্লিতে আসে পড়াতে। যে সেন্ট স্টিফেনস কলেজে অ্যালেন পড়াত সেখানে এই মৃত্যুর খবর পুলিশ জানায়। কলেজে কিন্তু রীতিমত জনপ্রিয় ছিল অ্যালেন। মিশুকে স্বভাবের মানুষ হিসাবেই ছিল পরিচিত। সকলের সঙ্গে আলাপ করতে পছন্দ করত। তার এমন পরিণতি ও মাকে হত্যার ঘটনায় হতবাক তার ছাত্রছাত্রী থেকে সহকর্মীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা