ভারতের দ্রষ্টব্য স্থান কী কী? এ প্রশ্ন যদি অন্য কোনও দেশে গিয়ে করা হয় তাহলে হয়তো একসঙ্গে স্থান, কাল, পাত্র নির্বিশেষে উত্তর মিলবে তাজমহল। সেই তাজমহলের শহরে এখন বিদেশি পর্যটকরা আসলেও ক্রমশ কমছে দেশি পর্যটকের সংখ্যা। আগ্রা শহরেই ঢুকতে চাইছেন না পর্যটকেরা। তাঁরা এলেও তাজমহল দেখেই শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আগ্রার অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থানে যাওয়ার চেষ্টাই করছেননা তাঁরা। অন্তত এমনই দাবি করছেন আগ্রারই একাংশের ব্যবসায়ী। তাজমহলের জন্যই আগ্রার সুনাম। এ শহরের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটন নির্ভর, যা দাঁড়িয়ে আছে কেবলমাত্র তাজমহলকে সামনে রেখে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, আগ্রা শহরের হাল এখন বেহাল। রাস্তা খানাখন্দে ভরা। উঁচু নিচু রাস্তা ধরে চলা দায়। শহরের পরিকাঠামো রীতিমত খারাপ। আর এই বেহাল অবস্থার কথা ভেবেই নাকি পর্যটকরা তাজমহল দর্শন সেরেই শহর ছেড়ে কোনওক্রমে পালাচ্ছেন। আর একটাও জায়গায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও আনছেন না। তাজমহল না থাকলে এখানে এত খারাপ পরিস্থিতিতে কেউ আসত না বলেও দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও জানেন আগ্রার রাস্তার বেহাল দশার কথা। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে পুরসভাকে আগ্রার সব রাস্তা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশ পালনের উদ্যোগ এখনও দেখা যায়নি। বরং গোটা শহর জুড়ে শুধুই বড় বড় গর্ত। রাস্তা ভাঙাচোরা। গাড়ি গতিই তুলতে পারেনা রাস্তার জন্য। বর্ষার পর আগ্রার এমন দশা নতুন নয়। কিন্তু তা দ্রুত সারানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ তাজমহল দেখার পর মানুষ যদি শহরে নাই থাকেন। শহরের অন্যত্র না যান তাহলে মার খাবে ব্যবসা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা