ছোটটার বয়স মাত্র ২ বছর। নাম বুড়ি। ৪ বছর বয়সের যমজ সন্তানের নাম নয়ন ও রোশনি। আর ৭ বছরের বড় মেয়ের নাম আরুশি। ২৭ বছর বয়সের বিমলা তাঁর এই ৪ সন্তানকে নিয়ে সোমবার রাতে ঝাঁপ দিলেন বাড়ির কাছের একটি কুয়োয়। মায়ের সঙ্গে সন্তানেরাও কুয়োয় ঝাঁপ দেয়। গভীর কুয়োয় রাতের অন্ধকারে ঝাঁপ দেওয়ার পর কারওই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিলনা। মৃত্যু হয় মা ও তাঁর ৪ সন্তানের। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫টি দেহ উদ্ধার করে। বিমলার স্বামী রাজেশ খুশওয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এছাড়া গ্রামেও কথা বলছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে যে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে এর পিছনে আর কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও নিশ্চিত হতে চাইছে তারা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে রাজেশ ও বিমলার মধ্যে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। ঝগড়াও হত খুব। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান বিমলা। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর অবশেষে গত রবিবার ফের স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। আর ঠিক তার পরদিনই রাতে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কেন এমন পদক্ষেপ তা রাজেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা