মূলত বাঘ শিকার করাই ছিল তার কাজ। বিভিন্ন জঙ্গলে লুকিয়ে বাঘ শিকার করত। কিন্তু তাকে কিছুতেই ধরতে পারত না বন বিভাগ। তবে বাঘ শিকারের পাশাপাশি তার শখ ছিল শ্লথ বেয়ার প্রজাতির ভাল্লুক শিকার করা। এই ভাল্লুক শিকারের কিন্তু একদম অন্য উদ্দেশ্য ছিল তার। ভাল্লুক শিকার করত পুরুষ ভাল্লুকের জননাঙ্গ কেটে খাওয়ার জন্য। ভারতে আদিবাসীদের একাংশের ধারণা পুরুষ ভাল্লুকের জননাঙ্গ কেটে খেলে পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই ধারণায় বিশ্বাসী ছিল কুখ্যাত চোরা শিকারি জাসরত। তাই সে লুকিয়ে ভাল্লুক শিকার করত। সাধারণত শ্লথ বেয়ার চোরা শিকারিরা শিকার করে তার গলব্লাডার ও পিত্তটি বিক্রি করার জন্য। বিদেশের বাজারে এর দাম প্রচুর। বিদেশে অনেকের ধারণা এগুলি খেলে ক্যানসার, পুরনো ব্যথা ও হাঁপানি সেরে যায়।
ভারতের সবচেয়ে ভয়ানক চোরা শিকারির নাম জাসরত ওরফে আরলেন ওরফে লুজালেন। নাম ভাঁড়িয়ে বিভিন্ন জঙ্গলে চোরা শিকার করত সে। তার প্রধান শিকার ছিল বাঘ। বন বিভাগের কাছে ওই ব্যক্তিই ছিল ভারতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চোরা শিকারি। যার নাগাল পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল বন কর্মীদের। জঙ্গলটাকে খুব ভাল করে চেনায় তাকে ধরা আরও মুশকিল হচ্ছিল। বন বিভাগের এসটিএফ তাকে গ্রেফতার করতে গত ১২ বার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবারই বিফল হয়।
অবশেষে জাসরতকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বন বিভাগের এসটিএফ। এর আগেও একবার বাঘ শিকারের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। ফের সে তার চোরা শিকার শুরু করে। ময়ূরও প্রচুর শিকার করত সে। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চোরাচালান চক্রের গোড়ায় পৌঁছতে চাইছে বন বিভাগ। বাঘ, শ্লথ বেয়ার বা ময়ূরের বিভিন্ন অংশ বিদেশের বাজারে বিক্রি করলেও পুরুষ ভাল্লুকের জননাঙ্গ সে কাউকে দিত না। ওটা রেখে দিত নিজে খাবে বলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা