এক সময়ে ভূপীন্দর সরকারের মন্ত্রী তথা হরিয়ানার ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা গোপাল গয়াল কান্দা-র বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছিল বিজেপি। সময়ের ফেরে সেই কান্দাই এখন প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা বিজেপিকে হরিয়ানায় সরকার গড়ার রাস্তা করে দিচ্ছেন। হরিয়ানায় সরকার বাঁচাতে কান্দাকে বৃহস্পতিবার রাতেই চার্টার্ড বিমানে দিল্লি উড়িয়ে আনে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসে। তারপরই কান্দা জানিয়ে দেন তিনি বিজেপিকেই সরকার গড়তে সমর্থন দেবেন। কান্দাই বাকি ৭ নির্দল বিধায়ককে বিজেপিকে সমর্থন করার বিষয়ে বুঝিয়ে রাজি করান বলে খবর। নির্দল ৮ বিধায়কের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন কান্দাই।
২০১৪ সালের আগে হরিয়ানায় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তখন ভূপীন্দর সিং হুডা সরকারে মন্ত্রী ছিলেন গোপাল কান্দা। সে সময়ে এক বিমান সেবিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে ওই বিমানসেবিকা তরুণী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে কান্দার বিরুদ্ধে। বিমানসেবিকার মৃত্যুর পর তাঁর মাও আত্মহত্যা করেন। সেক্ষেত্রেও কান্দার বিরুদ্ধেই আঙুল উঠেছিল যে তিনিই ওই তরুণীর মাকেও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন। সে সময়ে কংগ্রেস সরকার কান্দার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। কান্দা এই ঘটনায় দেড় বছর জেলও খাটেন। পরে অবশ্য দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। কান্দার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগও নাকচ হয়ে যায়।
কান্দার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সামনে আসার পর বিজেপি নেতারা কিন্তু কান্দার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। কড়া ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হয়। সেই কান্দাই এখন বিজেপির প্রায় ডোবা তরীকে বাঁচানোর কারিগর প্রমাণিত হলেন। এই অবস্থায় বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপি যে কান্দার বিরুদ্ধে এতকিছু বলেছিল সেই কান্দার সমর্থনেই তারা সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিল কী করে? এর উত্তর অবশ্য বিজেপি এখনও দেয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা