গত বৃহস্পতিবার রাত। আচমকাই এক তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ। আতসবাজি ফাটার শব্দ। আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে ভয়ে বেরিয়ে এলেন অনেকে। দেখলেন তাঁদের এলাকারই একটি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। বিস্ফোরণে বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। কার্যত প্রায় পুরো বাড়িটাই ধ্বসে গেছে। আর তার নিচে চাপা পড়ে গেছেন বাড়ির বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত ৫ জন।
আহত ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই বাড়ি সহ চারধার ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে ওই বাড়িটিতে বাজি মজুত ছিল। তাও প্রচুর পরিমাণে। ওখানে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সেখানেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। আগুন মজুত বাজি ও মশলা ফেটে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটায়। ভেঙে পড়ে বাড়িটি। আগুন লেগে যায়।
এই ঘটনায় ওই পরিবারের নবি খান, তাঁর মেয়ে রাজিয়া ও এক আত্মীয় আরবিন-এর মৃত্যু হয়। পরিবারের ৫ জন আহত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের নোকে সরাই গ্রামে। এদিকে দিওয়ালীর আগে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এতদিন যদি এখানে বেআইনিভাবে বাজি তৈরিই হচ্ছিল তো পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি কেন। কেনই বা পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিলনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা