দিওয়ালীর দিন যখন গোটা দেশ আনন্দে মশগুল থাকবে তখন সেই উৎসবকে মাটি করতে সবরকম চেষ্টা করতে পারে পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের মূল লক্ষ্য হতে পারে দিল্লি। দিল্লির যেখানে যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মানুষের ভিড় হয় সেখানে সেখানে নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি জোরদার করা হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তে ২ জইশ কমান্ডারের মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তা জানতে পেরে এমনই তথ্য হাতে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। তারপরই দিওয়ালীর দিনকে সামনে রেখে আগে থেকেই দিল্লির কোণায় কোণায় নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে।
দিল্লির সরোজিনী নগর, লাজপত নদর, করোল বাগ, বেঙ্গলি মার্কেট, কনট প্লেস, খান মার্কেট, ইন্ডিয়া গেট, রাজপথ, দিল্লি জিমখানা সহ বিভিন্ন এলাকায় সুরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বাড়ানো হয়েছে। মাছি গলার উপায় নেই। বিশেষত উৎসবের দিনে যেখানে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভিড় জমাতে পারেন সেখানে প্রায় প্রতি ইঞ্চি নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। সব শপিং মল, বাজার, মাল্টিপ্লেক্স আধাসেনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছে, গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দিল্লির বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির পুলিশ স্টেশন ও পুলিশ কলোনিগুলিও টার্গেট হতে পারে। সেখানে আত্মঘাতী হামলা বা সরাসরি আক্রমণ হানতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। ফলে সে বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে। দিল্লি তো বটেই, এছাড়া মুম্বই, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদের মত শহরেও সুরক্ষা বন্দোবস্ত অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে দিওয়ালীতে। যাতে সেখানে দিওয়ালীর খুশি নষ্ট না করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। এছাড়াও দেশের বড় শহরগুলিতে বিশেষ নজরদারির বন্দোবস্ত থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা