National

মাকে হত্যা করে তাঁর দেহের পাশেই প্রেমিককে নিয়ে ৩ রাত্তির কাটাল তরুণী

প্রেমে বাধা দিতে চাননি মা। তাঁর আপত্তি ছিল একটাই। একসঙ্গে ২টি ছেলের সঙ্গে কেন একভাবে সম্পর্ক রাখছে মেয়ে? ২ যুবকের এ জানছে না ওর কথা। ও জানছে না এর কথা। একসঙ্গে ২ যুবককে নাচানোয় আপত্তি ছিল মায়ের। তিনি বেশ কয়েকবার এ নিয়ে মেয়েকে সতর্কও করেন। কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি মেয়ের এমন কাণ্ড বরদাস্ত করবেননা। বরং মেয়েকে এভাবে ২ যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন তিনি।

মায়ের এই পরামর্শ মেয়ের একেবারেই ভাল লাগেনি। তাই মাকেই শেষ করে দিল সে। তবে শুধু হত্যা নয়। মাকে মেরে তাঁরই দেহের পাশে এক প্রেমিককে নিয়ে রাতের পর রাত কাটাল সে।


হায়দরাবাদ শহর থেকে কিছুটা দূরে মুনাগানুরু গ্রাম। এখানেই মায়ের সঙ্গে থাকত ১৯ বছরের কীর্তি। গত ১৮ অক্টোবর মায়ের সঙ্গে ২ পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাকে কেন্দ্র করে অশান্তির পর লুকিয়ে কীর্তি তার এক প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে নেয়। তারপর মা রজিতার গলার কাছে দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে সে। প্রেমিককে বলে মায়ের পা ২টো চেপে ধরে রাখতে। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩৯ বছর বয়স্ক ওই মহিলার।

মাকে হত্যার পর খালি বাড়িতে প্রেমিককে নিয়ে কাটাতে শুরু করে কীর্তি। মৃতদেহের পাশেই তারা ৩ দিন ৩ রাত কাটায়। কিন্তু চতুর্থ দিনে মৃতদেহ থেকে প্রবল দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করলে আর বাড়িতে টিকতে পারেনি তারা। লুকিয়ে দেহটি কাছের রেললাইনের ওপর ফেলে আসে।


এদিকে পেশায় ট্রাক চালক কীর্তির বাবা শ্রীনিবাস রেড্ডি বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই। মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে জিজ্ঞেস করে তার মা কোথায়? কীর্তি জানায় মা কোথায় তার জানা নেই। মাঝে সে কাজে বিশাখাপত্তনম গিয়েছিল। ফিরে এসে মাকে আর দেখতে পায়নি।

শ্রীনিবাস স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত নামে। প্রথমে পুলিশ কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও স্নাতক স্তরের ছাত্রী কীর্তিকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরে অসামঞ্জস্য খুঁজে পায়।

তদন্তকারী আধিকারিকরা বুঝতে পারেন কীর্তি কিছু একটা লুকোচ্ছে। তাকে জোরদার জেরা শুরু হয়। আর সেখানেই অবশেষে ভেঙে পড়ে সব সত্যিই পুলিশের কাছে কবুল করে কীর্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button