‘তেরা কেয়া হোগা কালিয়া’, নাটকীয়তা রেখেই শোলের সেই বিখ্যাত ডায়লগ ছুঁড়ে দিল ব্যবসায়ী। পাশে দাঁড়িয়ে তার স্ত্রী। তার হাতে বন্দুক। শূন্যে গুলি ছুঁড়ছে ওই মহিলা। বাবা-মায়ের এই কাণ্ড তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে তাদের সন্তান। এদিকে পাড়ায় গুলি চলছে। এটা বুঝতে পেরে আর কেউ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস করেননি। গোটা পাড়া নিমেষে ফাঁকা হয়ে যায়। সকলেই ঢুকে পড়েন ঘরে। বন্ধ করে দেন দরজা, জানালা। দেওয়ালির ফুর্তির মাত্রা চড়াতে গিয়ে এমনই কাণ্ড ঘটাল উত্তরপ্রদেশের বরেলির ব্যবসায়ী অজয় মেহতা ও তার স্ত্রী। ওই ব্যবসায়ীর বাস ইজ্জতনগর এলাকার টিউলিপ গ্র্যান্ড অ্যাপার্টমেন্টে। তাদের এই গুলি চালানোর ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে। ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তার সাফাই দিওয়ালী বলে খেলনা বন্দুক থেকে গুলি করা হচ্ছিল। কেবলই উৎসবের আনন্দ উদযাপন। পুলিশ যদিও জানাচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর নামে কোনও বন্দুকের লাইসেন্স ইস্যু হয়নি। যদি ওই ব্যবসায়ী খেলনা বন্দুক প্রমাণ করতে পারে সেটা অন্য কথা। কিন্তু যদি দেখা যায় বন্দুক আসল তাহলে তাকে গ্রেফতারির মুখে পড়তে হবে।
দিওয়ালী বলেই নয়, উত্তরপ্রদেশে বিয়ে থেকে অন্য আনন্দ উৎসবে আসল বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি চালানোর রেওয়াজ অনেকদিনের। কিন্তু এভাবে আনন্দ করতে গিয়ে গুলি লেগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমন ঘটনাগুলি সামনে আসার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার এভাবে আনন্দ করে বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপরও এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অজয় মেহতাকে তার ফল ভুগতে হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ বলেই নয়, ওড়িশা থেকেও এমন ছবি উঠে এসেছে দিওয়ালীর রাতে। ব্যবসায়ীদের এক দিওয়ালী পার্টিতে একাধিক ব্যক্তিকে নাচতে নাচতে আনন্দে শূন্যে গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে ভিডিওতে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। একই ঘটনার খবর এসেছে বিহার থেকেও। আমজনতা চাইছেন এরা যদি আসল বন্দুক থেকে সত্যিই গুলি চালিয়ে তাকে, তাহলে যেন এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা