সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল না হলে হয়তো অনেকেই জানতে পারতেন না এমন কিছু ঘটেছে। অবশেষে জানাজানি হল। গত বুধবার চণ্ডীগড় থেকে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল ৪০ বছরের নিসার কুরেশি। সেখানে গত বুধবার তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ঝগড়ায় ঢুকে পড়েন কুরেশির শাশুড়ি ও শ্যালিকা। ঝগড়া চরমে উঠলে কুরেশি আচমকাই একটা কুঠার তুলে নেয়। তারপর তার কোপ বসিয়ে দেয় স্ত্রীর ওপর। এরপর একের পর এক কোপে স্ত্রীকে হত্যা করে সে। ৩৫ বছরের আফসারিকে বাঁচাতে এসে কুঠারের ঘায়ে আহত হন মা ও বোন।
স্ত্রীকে হত্যা করে, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে আহত করে সেখান থেকে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে কুরেশি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পালাতে গেলে পাড়াপড়শিরাই ঘিরে নেন তাকে। শুরু হয় মার। গণধোলাই চলতে থাকে। ততক্ষণ কুরেশিকে মারতে থাকে জনতা যতক্ষণ না তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে কুরেশি ও তার স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। আহত ২ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়। কুরেশিকে গণধোলাই দিয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিও তোলা হয়। গত বুধবার এই ঘটনা ঘটলেও সেই ভিডিও শনিবার ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিশ আফসারির হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি কুরেশিকে এভাবে গণধোলাই দিয়ে হত্যারও তদন্ত শুরু করেছে। কুরেশির ভাই আসফাক পুলিশের কাছে দাদাকে হত্যায় ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। একটি ভিডিও পুলিশের হাতে তুলে দেন। আসফাকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, কুরেশির মাথা ফেটেছে, মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুরেশির দেহের অধিকাংশ হাড়ই আস্ত নেই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা