কার্যত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে গোটা শহরটাকে। কোনও জোরজার নয়। সদিচ্ছাতেই ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন সকলে। রাস্তায় থাকার মত পরিস্থিতি নেই। গোটা শহরটা মাত্রা ছাড়া দূষণে আক্রান্ত। শহর জুড়ে দূষণ বাড়তে বাড়তে গর রবিবার এক ভয়ংকর চেহারা নেয়। যা মানুষকে গৃহবন্দি করে ফেলে। মানুষকে আরও বেশি আতঙ্কে ফেলেছে সরকারের পরামর্শ। দিল্লির সরকারই দিল্লিবাসীকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছে। খুব দরকার না পড়লে তাঁরা যেন বার না হন সেই পরামর্শই দিয়েছে সরকার।
সরকার আরও জানিয়েছে বাইরে কোনও কাজ থাকলে তা সম্ভব হলে অন্য কোনও দিন করার পরিকল্পনা করুন। কাজ পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে। তাছাড়া দিল্লিবাসীর কেউ যদি শ্বাসকষ্ট, সর্দি, বুকে ব্যথা বা চোখে কোনও অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও অনুরোধ করেছে সরকার। দিল্লির দূষণ এমনই ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছয় রবিবার। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বরের ৪ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ফের জোড়-বিজোড় নম্বরের গাড়ি রাস্তায় বার হওয়ার নীতি চালু করেছে দিল্লির আপ সরকার।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা দিল্লির দূষণমাত্রা বোঝাতে খুব সহজ একটি উদাহরণ দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন একজন মানুষ একদিনে যদি ৩৩টি সিগারেট খান তাহলে তাঁর যা ক্ষতি, দিল্লির রবিবারের দূষণে সমান ক্ষতি। সিগারেট এড়ানোর উপায় রয়েছে। কিন্তু এই দূষণ থেকে পালাবেন কোথায়? পূর্বাভাস অবশ্য বলছে এই দূষণমাত্রা সোমবার সন্ধের পর থেকে কমবে। কিন্তু তার আগে যা ক্ষতি করার তো করছে। এদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ৩০০টি দলকে রাস্তায় নামিয়েছে কেন্দ্র। তাদের হাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় যন্ত্রও রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা