অফিসে তখন অফিসের লোকজন বাদ দিয়ে বিশেষ কেউ ছিলেননা। লাঞ্চ আওয়ার হওয়ায় সে সময় ভিজিটার প্রায় ছিলেন না বললেই চলে। অফিসের লোকজনও লাঞ্চ করতে ব্যস্ত ছিলেন। সে সময় নিজের ঘরেই ছিলেন মণ্ডল রেভিনিউ অফিসার বিজয়া রেড্ডি। তিনি নিজের ঘরেই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে সে সময়েই কে সুরেশ নামে এক ব্যক্তি অফিসে ঢুকে পড়ে। তারপর সোজা হাজির হয় বিজয়া রেড্ডির চেম্বারে।
ঘরে ঢুকেই সঙ্গে থাকা পেট্রোল ওই মহিলা আধিকারিকের গায়ে ছড়িয়ে দেয় কে সুরেশ। তারপর আগুন জ্বালিয়ে দেয়। নিজের চেম্বারে বসেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বিজয়া রেড্ডির দেহ। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তাঁরই অফিসের ২ কর্মী। তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন যাতে বিজয়া রেড্ডিকে বাঁচানো যায়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বরং তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ওই ২ কর্মীর দেহও পুড়ে যায়। এঁদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিজয়া রেড্ডির গায়ে আগুন ধরাতে গিয়ে কে সুরেশও কিছুটা দগ্ধ হয়। ঘটনা ঘটিয়ে ওই দফতর থেকে পালিয়ে যায় সুরেশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কে সুরেশের বাহারাম গ্রামে ৭ একর জমি আছে। সেই জমি নিয়ে সুরেশ ও তার ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কোনও বিষয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সুরেশের ক্ষোভ ছিল যে মণ্ডল রেভিনিউ অফিসার বিজয়া রেড্ডি বিষয়টির সমাধান করতে তৎপর হচ্ছেন না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার হায়দরাবাদ শহরের বাইরে। এই ঘটনার পর স্বভাবতই সরকারি কর্মচারিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হন। এভাবে অফিসে ঢুকে যদি একজন মহিলা অফিসারকে এমনভাবে পুড়িয়ে মেরে ফেলে আততায়ী পালিয়ে যেতে পারে তাহলে তাঁদের সুরক্ষা কোথায় বলে প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা