আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তেমন একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে নেই। কিন্তু তারপর? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে জমাট বাঁধছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শুক্রবারের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে তা ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়? সেটা নিয়ে কিছুটা হলেও ধন্ধে আবহবিদরা। রাজ্যের মানুষের প্রশ্ন তবে কী পশ্চিমবঙ্গের ওপর এর প্রভাব পড়বে? এখনও ইঙ্গিত কিন্তু তেমনই রয়েছে। আর তা যদি মিলে যায় তাহলে সপ্তাহান্তে প্রবল ঝড় আছড়ে পড়বে রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায়। ভরা হেমন্তে প্রবল বর্ষণের শিকার হবেন মানুষজন। যার হাত থেকে কলকাতাও রেহাই পাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, যে ঝড়টি দানা বাঁধছে তা ওড়িশা উপকূলে যে আছড়ে পড়ার কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নাও হতে পারে। কারণ এখনও ঝড়টি কোন দিকে যাবে তা পরিস্কার নয়। তাদের বর্তমানে ধারণা ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। কিন্তু তা নাও হতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশের দিকেও সেটি অগ্রসর হতে পারে। আবার তা না হয়ে ওড়িশার দিকেও আসতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে সেটি সমুদ্রেই শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলল। ফলে তার গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
কথায় অবশ্য বলে সাবধানের মার নেই। তাই ঘূর্ণিঝড় কোন দিকে আসবে তার তোয়াক্কা না করেই ওড়িশার ১৫টি জেলায় জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্পেশাল রিলিফ কমিশনার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও ঝড় আছড়ে পড়লে এখানে সপ্তাহ শেষে প্রবল বৃষ্টি শুরু হবে। তবে তা হবেই কিনা তা আগামী শুক্রবার অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে। এদিকে সমুদ্র ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে, তাই বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা