এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হল বৃদ্ধ দম্পতির আশপাশের মানুষকে। সন্তানকে কষ্ট করে বড় করেছিলেন। একমাত্র ছেলেকে। হয়তো মনের কোণায় কোথাও একটা আশা ছিলে যে শেষ জীবনে ছেলে তাঁদের দেখাশোনা করবে। কিন্তু সেই ছেলেই বড় হয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। যা ক্রমশ অসহ্য হয়ে উঠছিল ৭৬ বছরের বৃদ্ধ সারাইয়া ও তাঁর স্ত্রী ৬৬ বছরের রাধাম্মা-র জন্য। ছেলে ও বৌমার কাছ থেকে পদে পদে খারাপ ব্যবহার পেতে পেতে বাঁচার ইচ্ছাটাই বোধহয় হারিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। ৩ মেয়ের বিয়ে আগেই দিয়েছিলেন। ছেলের কাছেও তাঁদের শেষ জীবনটা কাটানোর মত পরিস্থিতি ছিলনা।
গত শুক্রবার ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয় তাঁদেরই বাড়ি থেকে। গ্রামবাসীরা এসে দেখেন ২ জনেই মৃত্যুর আগে নতুন পোশাক পরেছিলেন। ঘরের এক কোণায় সাজিয়ে রেখেছিলেন তাঁদের দুজনকে দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় শেষকৃত্যের সরঞ্জাম। যাতে ওগুলো কেনার জন্যও ছেলের বিরক্ত হতে না হয়। তারপর স্বামী-স্ত্রী নতুন পোশাক পরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। গভীর কষ্ট বুকে নিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন তাঁরা।
গ্রামবাসীরা অনেকেই নতুন পোশাকে শায়িত দম্পতিকে দেখে নিজেদের স্থির রাখতে পারেননি। গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রত্যেকর মুখেই ছিল একটাই অভিযোগ। ছেলে-বৌমার অত্যাচারেই নিজেদের শেষ করে দিলেন দম্পতি। গ্রামবাসীদের আরও দাবি, ওই দম্পতিকে এই বয়সে ছেলে বৌমার হাতে মারও খেতে হত। আত্মহত্যার ঘটনা হলেও পুলিশকে এই ঘটনায় দম্পতির ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা