ঝিল জুড়ে পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু মিছিল, দানা বাঁধছে রহস্য
প্রতিবছর তারা এসে হাজির হয়। শীতটা এখানেই থাকে। তারপর ফের পাড়ি দেয় তাদের জন্মস্থানে। এটাই বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে।
শীত আসছে। আর শীত আসা মানেই বহু বহু দূর থেকে পরিযায়ী পাখিদের ভারতে আগমন। কয়েকটি ঝিল তাদের চিহ্নিত করাই থাকে। সেখানেই প্রতিবছর তারা এসে হাজির হয়। শীতটা এখানেই থাকে। তারপর ফের পাড়ি দেয় তাদের জন্মস্থানে। এটাই বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে।
সাঁতরাগাছি ঝিল, চিড়িয়াখানার ঝিল সহ এমন বেশ কিছু ঝিল রয়েছে যেখানে প্রতি বছর পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায় শীতকালে। সুদূর সাইবেরিয়া বা উত্তর এশিয়া থেকেও তারা মাইলের পর মাইল উড়ে হাজির হয় এসব ঝিলে।
পরিযায়ী পাখিদের শীতের ডেরা হিসাবে খ্যাত রাজস্থানের জয়পুরের সম্বর লেক। ফুলেরা এলাকার এই নোনাজলের ঝিলই হল ভারতের সবচেয়ে বড় নোনা লেক। এই সম্বর ঝিলে শীতে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান। পক্ষীপ্রেমীরা ভিড় জমান। কারণ একটাই। রংবেরংয়ের পাখির মেলা জমে এই ঝিলে। ঝিলের ওপর উড়ে বেড়ায়। পাশের গাছে ডেরা বাঁধে।
গত রবিবারও কয়েকজন পক্ষীপ্রেমী গিয়েছিলেন সেখানে হাজির হওয়া কিছু বিশেষ ধরনের পাখির ছবি নিতে। কিন্তু সেখানে হাজির হয়ে ঝিলের দিকে তাকাতেই তাঁরা চমকে ওঠেন। দেখেন ঝিল জুড়ে ভাসছে পাখির দেহ। ঝিলের আশপাশেও মরা পাখির ভিড়।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বন আধিকারিক জানিয়েছেন তাঁরা ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তার আগে জলে কোনও বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা বা কোনও ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা তাও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
এদিকে বন দফতর দাবি করেছে দেড় হাজার পাখির মৃত্যু হয়েছে সম্বর ঝিলে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি মৃত পাখির সংখ্যা ৫ হাজারের কম নয়। এদিকে মরা পাখিদের থেকে সংক্রমণ রুখতে ৬৬৯টি পাখিকে ইতিমধ্যেই মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা