মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সরকারে আসা মোটামুটি নিশ্চিত। আপাতত জোটের চূড়ান্ত রফা নিয়ে কিছু ফাঁক পূরণের কাজ চলছে। এনসিপি এটাও জানিয়ে দিয়েছে শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী দিতেই পারে। এতে তাদের আপত্তি নেই। কংগ্রেসেরও একই মত। ফলে শিবসেনার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ পাকা। এদিকে মহারাষ্ট্রে নির্বাচন কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়ে শিবসেনা। কিন্তু ভোটের ফলাফল বার হওয়ার পর যখন দেখা যায় বিজেপি শিবসেনাকে বাদ দিয়ে সরকার গড়তে পারবেনা, সেখানে শিবসেনার শর্ত ছিল তাদের সঙ্গে ৫০-৫০ মন্ত্রিত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্বে রফা করতে হবে বিজেপিকে। এই শর্ত মানতে চায়নি বিজেপি। ফলে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়। মহারাষ্ট্রে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। তারমধ্যেই অবশেষে ৩ দলের জোট সরকার গড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এবার বিজেপিকে জব্দ করতে কেন্দ্রেও চোখ রাঙাচ্ছে শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা ভাঙনের সরাসরি প্রভাব এবার গিয়ে পড়ল সংসদে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকারের দিকের আসনে নয়, জোটসঙ্গী হয়েও শিবসেনা এবার বসতে চলেছে বিরোধী আসনে। যা বিজেপির জন্য ভাল খবর নয়। উল্টোদিকে বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে যা বিরোধী শিবিরের জন্য খুশির খবর। কারণ এমনিতেই লোকসভায় বিরোধী সংখ্যা নগণ্য। সেখানে শিবসেনার সমর্থন পেলে বিরোধীদের স্বর সংসদে আরও একটু শক্তি পায়।
লোকসভায় এখন শিবসেনার সাংসদ সংখ্যা ১৮। রাজ্যসভায় ৩টি। মহারাষ্ট্রে যদি শিবসেনাকে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তেই হয়, সেক্ষেত্রে লোকসভায় বিরোধী আসনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা কংগ্রেস বা এনসিপি-র সঙ্গেই থাকতে হয় শিবসেনাকে। কারণ কেন্দ্রে তারা এনডিএ শরিক। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বন্ধু, কেন্দ্রে বিরোধী, এমনটা হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। ফলে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি-র সঙ্গে সরকার গড়তে গেলে সংসদে বিরোধী আসনে বসাটাই বোধহয় ভবিতব্য ছিল শিবসেনার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা