সে এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড। তাঁকে ধরার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। অবশ্যই থানায় উপস্থিত মহিলা পুলিশকর্মীরা। কারণ তিনি একজন তরুণী। কিন্তু তাঁকে বাগে আনা সহজ কথা নয়। থানায় একেবারে লম্ফঝম্ফ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। একেবারে কুরুক্ষেত্র কাণ্ড। এই অবস্থায় তাঁকে ধরতে যেতেই তিনি এক মহিলা পুলিশকর্মীর হাতে কামড় বসিয়ে দেন। পুলিশকর্মী আর্তনাদ করে ওঠেন। এই দেখে অন্য এক মহিলা পুলিশকর্মী তাঁকে চেপে ধরতে এগিয়ে আসেন। এঁকে আর কামড়ে দেননি ওই তরুণী। তাঁর ঘাড়ে নখ দিয়ে আঁচড়ে দেন। থানার মধ্যে এক তরুণীর এমন তুলকালামে গোটা থানা জুড়ে হৈহৈ পড়ে যায়। পুরুষ পুলিশকর্মীরা আবার তাঁকে ধরতে যেতে পারছেন না। তারমধ্যে তরুণী ক্রমাগত পুলিশকে হুমকি দিয়ে চলেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে হায়দরাবাদের বানজারা হিলস পুলিশ স্টেশনে। পুলিশ আগের রাতে টহল দেওয়ার সময় বানজারা হিলসের ১০ নম্বর রাস্তার ওপর ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে তাঁর আর কোনও হুঁশ ছিলনা। তাঁকে রাস্তার কোণা থেকে তুলে পুলিশকর্মীরা থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে সারা রাতেও ওই তরুণীর হুঁশ ফেরেনি। অবশেষে রবিবার ভোরে তাঁর হুঁশ ফেরে। ধীরে ধীরে উঠে বসেন লিসা নামে ওই তরুণী। হুঁশ ফিরে যখন তিনি বুঝতে পারেন তিনি থানায় তখন সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে জানায় এভাবে একা একা তাঁকে তাঁরা ছাড়বেন না। তাঁর পরিচিত কেউ এলে তরুণীকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
পুলিশ একথা বলার পরই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তরুণী। তিনি পুলিশকেই পাল্টা হুমকি দিতে থাকেন। থানা থেকে জোর করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই সময় তাঁকে আটকাতে যান ২ মহিলা কনস্টেবল। তখনই তাঁদের ১ জনকে কামড়ে দেন ও অন্যজনকে আঁচড়ে দেন লিসা। যদিও পরে তাঁকে পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়। লিসা জানিয়েছেন তিনি নাগাল্যান্ড থেকে এখানে একটি সংস্থায় কাজ করতে এসেছেন। পুলিশ লিসাকে পরে তাঁর বাবা-মার হাতে তুলে দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা