বড় সফটওয়্যার সংস্থা। সেখানেই জুনিয়র সফটওয়্যার ডেভেলপার পদে কাজ করছিলেন তিনি। নিজের কাজ, নিজের চাকরি নিয়ে খুশি ছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি আচমকাই চলে যায়। এভাবে চাকরি হারানোর ধাক্কা তাঁকে ক্রমশ অবসাদের অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। হয়তো তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের চেনা দস্তুরকে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি। চাকরি হারানোর যন্ত্রণা সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণী।
মাত্র ২৪ বছর বয়স। সামনে পুরো জীবনটা পড়েছিল। পোগাকু হারিনি-র এই মৃত্যু তাই কোথাও তাঁকে হারিয়ে দিয়ে গেল। তাঁর পরিচিতরা বলছেন এতেই না হেরে লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারতেন হারিনি। গত মঙ্গলবার হারিনি যে হস্টেলে থাকতেন সেই হস্টেলের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে হারিনি তাঁর হায়দরাবাদের অফিস থেকে সম্প্রতি একটি নোটিস পান। তাতে লেখা ছিল আগামী ৩০ নভেম্বরই তাঁর অফিসে শেষ দিন। তারপর থেকেই তিনি অবসাদে ডুবে যান। অবশেষে হায়দরাবাদের গাছিবোউলি এলাকার হস্টেল থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। পুলিশ জানাচ্ছে তেলেঙ্গানার মেহবুবনগর থেকে এখানে কাজ করতে এসেছিলেন পোগাকু হারিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা