ফ্ল্যাটে ঘর বলতে ৩টে। মোটামুটি বড়। তাতে এসি লাগানো। সিলিং থেকে অনেকগুলো আলো অনেকটা নিচ অব্ধি নেমে এসেছে। ঘরে আসবাব তেমন নেই। বরং আসবাব রাখার স্থানপূরণ করেছে সারিসারি টব। তাতে ছোট ছোট গাছ। সেসব গাছকে আলো দিতেই সিলিং থেকে গাছের মাথা পর্যন্ত নেমে এসেছে আলো। এমন এক আজব ঘর দেখে তাজ্জব পুলিশ। সব ঘরে টবের সারি। তাতে একটাই গাছ শোভা পাচ্ছে! গাঁজা গাছ! বাড়িতেই চাষ। আর সেখান থেকেই নিজে হাতে বিক্রি। মাঝে কাউকে কোনও কাটমানি দেওয়ার প্রশ্ন নেই! এমনই এক অভিনব কুটির শিল্প যে হতে পারে তাই না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন! ৪০টা টব। আর ৯ কেজি বিক্রির জন্য প্রস্তুত গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গোলকুন্ডায় গাঁজা বেচার সময় ৩৩ বছরের সৈয়দ শাহিদ হুসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মেলে হায়দরাবাদের মত শহরের বুকে তার ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাটে এমন এক অভিনব গাঁজা চাষের খবর। কিন্তু এমন কৌশল রপ্ত করল কিভাবে সৈয়দ? এ ব্যাপারে তাকে তার এক আমেরিকান বন্ধু সাহায্য করেছিল বলে পুলিশের কাছে কবুল করেছে সৈয়দ। সেই তাকে শেখায় ফ্ল্যাটে বসে কিভাবে গাঁজা চাষ করে হাজার হাজার টাকা কামানো যায়।