সিনেমার পর্দায় তিনি যথেষ্ট সফল। একসময়ের সেই সুপারস্টার কমল হাসান এখন পুরোদস্তুর রাজনীতির জগতের মানুষ। গড়েছেন নিজের দল মাক্কাল নিধি মায়াম বা এমএনএম। সেই দল এবার নির্বাচনে লড়ার জন্যও প্রস্তুত। অন্যদিকে দক্ষিণের মেগাস্টার রজনীকান্ত এখন সিনেমা আর রাজনীতি, দুটোই একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিনয়ও চলছে। রাজনীতিও চলছে। তবে রাজনীতিতে তিনি একটু ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন। দল করি করি করেও তা সামনে আনছেন না। আবার প্রচার করছেন তামিলনাড়ুর ২৩৪টি বিধানসভা আসনেই তাঁর দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এতদিন ২ তারকা ২ মেরুতেই অবস্থান করছিলেন। বলা ভাল কেউ কারও দল বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছিলেন না। তবে এবার ২ জনেই মুখ খুললেন।
কমল হাসান জানিয়েছেন, রজনীকান্ত তাঁর পুরনো বন্ধু। প্রয়োজন পড়লে তামিলনাড়ুর উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর দল রজনীকান্তের সঙ্গে হাত মেলাতে প্রস্তুত। প্রায় একই শব্দ শোনা গেছে রজনীকান্তের গলায়। রজনীকান্ত জানিয়েছেন, যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে তাঁদের জোট বাঁধতে হবে, তাহলে তাঁরা অবশ্যই একসঙ্গে হবেন। দুজনেই পরিস্কার করে দিয়েছেন প্রয়োজনে জোট তৈরিতে তাঁরা প্রস্তুত।
তামিলনাড়ুতে এখন যুযুধান ২টি পক্ষ অবশ্যই এডিএমকে ও ডিএমকে। বিজেপি এখানে এডিএমকে-র পাশে। অন্যদিকে ডিএমকে-র হাওয়াও যথেষ্ট শক্তিশালী। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও জোটে না গিয়ে কমল হাসান ও রজনীকান্ত তাঁদের দল নিয়ে আলাদা লড়ে বেশ কিছু আসন ছিনিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সেখানে তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন। যা তাঁদের একসঙ্গে সরকারে জায়গা করে দিতে পারে। যদিও এডিএমকে বা ডিএমকে-র নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকলে এমন সম্ভাবনা নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা