একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সোশ্যাল সাইটে সেই ভিডিও নিয়ে চর্চাও হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক যুবকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে পিছন থেকে দেখা যাচ্ছে। তিনি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার জেলাশাসক অমিত কিশোর। তাঁর চারপাশে তাঁর সুরক্ষায় নিয়োজিত পুলিশকর্মীরা। ওই যুবকের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনি সপাটে এক চড় কশালেন ওই যুবককে।
জেলাশাসক চড়া কষাতেই যেন লাইসেন্স পেয়ে যান সুরক্ষাকর্মীরা। তাঁরা এরপর জেলাশাসকের সামনেই ওই যুবককে মারতে শুরু করেন। এই ঘটনায় রীতিমত চমকে গেছেন অনেকে। একজন জেলাশাসক কীভাবে একজনকে এভাবে চড় মারতে পারেন? যদি তাঁর কোনও দোষ থাকে তবে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যেত! আদালতে যাওয়া যেত। কিন্তু জেলাশাসক কী নিজেই এভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব হাতে তুলে নিতে পারেন? এই প্রশ্ন এখন ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ব্যবসায়ী সন্দীপ জয়সওয়ালের দাবি ওইদিন পোস্ট অফিস পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন জেলাশাসক। তিনি যখন বার হচ্ছেন তখন দেখেন সন্দীপের গাড়ি বাইরে পার্ক করা। তিনি জানতে চান কার গাড়ি। সন্দীপ জানান তাঁর। জেলাশাসক তা সরানোর নির্দেশ দেন। সন্দীপের দাবি তা শুনে তিনি যখন গাড়ি সরাতে যাচ্ছেন তখন তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে চড় কষান অমিত কিশোর। এখানেই শেষ নয়। জেলাশাসকের সুরক্ষাকর্মীরা তাঁকে মারধর করে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে চিঠি লিখে তবে ছাড় দেওয়া হয়।
জেলাশাসক অমিত কিশোর অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেলেও তাঁর দাবি তিনি কাউকে মারধর করেননি। তিনি দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তি পোস্ট অফিসের জমি দখল করে রেখেছিলেন। সেই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বলেন তিনি। কিন্তু গায়ে হাত দেননি। ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন জেলার পুলিশ সুপারও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা