মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার গড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে। এটাই শুক্রবার রাত পর্যন্ত সকলে জানতেন। কিন্তু একটা রাতে বদলে গেল সবকিছু। নাটকীয়ভাবে শুক্রবার ভোরে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর সকাল ৮টাতেই রাজভবনে শুরু হয়ে যায় শপথগ্রহণ। সকলেই চমকে যান। দ্বিতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফলে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারই গঠিত হল। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো। দাবি, অজিত পাওয়ার এনসিপি বিধায়কদের একটি স্বাক্ষর করা সমর্থনপত্র রাজ্যপালের হাতে তুলে দিয়েছেন। এনসিপি বিধায়কদের সমর্থন পেলে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে বিজেপির আর সমস্যা রইল না।
মহারাষ্ট্রে ফের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিজের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। গোটা ঘটনায় হতচকিত শিবসেনা অজিত পাওয়ারকেই এই ঘটনার জন্য দুষছে।
এই ঘটনার পর দ্রুত শিবসেনা প্রধানকে ফোন করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি জানান পুরো ঘটনা তাঁর অজ্ঞাতে ঘটেছে। এর বিন্দু বিসর্গও তাঁর জানা ছিলনা। তিনি এও জানিয়েছেন অজিত পাওয়ার যা করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে তাঁর বা তাঁর দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যে বিধায়কদের সই করা তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের হাতে তা দলীয় বৈঠকে উপস্থিতির জন্য স্বাক্ষর গ্রহণের তালিকা। সেটাই ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন তাঁরা শরদ পাওয়ারকে বিশ্বাস করছেন। অজিত পাওয়ারই পিঠে ছুরি মেরেছেন। এ বিষয়ে শরদ পাওয়ার কিছুই জানতেন না। কিন্তু এসবের মধ্যেই পাশা কিন্তু বদলে গেল। শেষ মুহুর্তে বাজিমাত করল বিজেপি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা