বিয়েবাড়িতে তখন পাত্র ও পাত্রী পক্ষের সকলেই উপস্থিত। আনন্দের পারদ চরম সীমায়। মালা বদলের সময় এসে পড়েছে। পাত্র পাত্রী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। একে অপরের গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন মালা। সবাই আনন্দে উদ্বেল। এরমধ্যেই আনন্দে আত্মহারা কয়েকজন আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে বার করলেন বন্দুক। তারপর শূন্যে গুলি চালাতে থাকলেন। সেই শূন্যে গুলির সব গুলি শূন্যে যায়নি। একটি হাতের অসাবধানতায় সোজা গিয়ে লাগে বিয়ের ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত ফটোগ্রাফারের বুকে। ওখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বিয়ে বা এমন ধরনের আনন্দ অনুষ্ঠানে গুলি চালিয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশের প্রবণতা উত্তর ভারতে রয়েছে। তেমনই একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল গত শুক্রবার। বিহারের বৈশালী জেলার চণ্ডী ধনুষ গ্রামে। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ার পর বিট্টু শাহ নামে ওই ফটোগ্রাফারের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পুরো ঘটনা চাপা দিতে দ্রুত তাঁর দেহ বিয়েবাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে কাছের একটি ঝোপঝাড় ঘেরা জায়গায় ফেলে আসে কয়েকজন। তারপর বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন চলছিল তেমনই চলতে থাকে। যেন কিছুই হয়নি।
শনিবার সকালে এই ঘটনার খবর পুলিশের কানে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তারপর তল্লাশি শুরু হয়ে বিট্টু শাহর দেহ ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তারপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দে গুলি চালাতে গিয়ে গুলি ছিটকে মৃত্যুর ঘটনা এটা প্রথম নয়। এমন ঘটনা বিহার, উত্তরপ্রদেশে অনেকে ঘটেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা